বিবিএন নিউজ : এজলাসে বিচারক বসা। কর্ণফুলী থানার একটি মামলার বিচারে বাদী সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন। এর মধ্যে আদালত কক্ষে বেজে উঠে মোবাইল ফোন। যার ফোন বেজে উঠে সে আর কেউ নন, সে সাক্ষীদাতার আপন ছেলে ও মামলার ভিকটিম মো. হেলাল। যাই হওয়ার তাই হলো- আদালত কক্ষে মোবাইল ফোনে কথা বলায় শাস্তিভোগ করেছেন তিনি। গতকাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল আলমের নির্দেশে মো. হেলাল নামের ওই যুবক পুরো এক ঘন্টা হাজতবাস করেন।
আদালতের হাজতখানার একটি সূত্র ও হাজতবাস করা মো. হেলাল আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সূত্র জানায়, বিচারকার্য চলা অবস্থায় মো. হেলাল তার মোবাইল ফোনে আসা কল রিসিভ করে এবং কথা বলে। যেটি অন্যায়। বিষয়টি বিচারকের নজর এড়ায় নি। তবে মো. হেলাল ক্ষমা চাইলে লঘু অপরাধ হিসেবে বিচারক তাকে ১ ঘন্টার হাজতবাসের নির্দেশ দেন। মো. হেলাল তা পালনও করেন।
মো. হেলাল বলেন, বাবা তখন সাক্ষী দিচ্ছিলেন। আরো অনেকের মতো আমিও সেখানে উপস্থিত ছিলাম। হঠাৎ আমার ফোন বেজে উঠে। আমি তা রিসিভ করে কথা বলা শুরু করি। বিষয়টি বিচারকের নজরে পড়ে। এক পর্যায়ে আদালত আমাকে ১ ঘন্টা হাজতবাসের নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী আমাকে হাজতখানার একটি কক্ষে ১ ঘন্টা যাবত রাখা হয়। পরে বিকাল ৫ টার দিকে আমাকে ছেড়ে দিলে আমি সেখান থেকে চলে আসি।
উল্লেখ্য, দেড় বছর আগে কর্ণফুলী থানা এলাকায় কয়েকজনের হাতে আনোয়ারা জেলার বড় উঠান এলাকার মো হেলাল মারধরের শিকার হয়। এ ঘটনায় তার বাবা কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা করেন।