এম.এইচ আরমান চৌধুরী: কক্সবাজারের চকরিয়ার দলছুট বন্যহাতিকে তাড়াতে গিয়ে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মো. রহমত উল্লাহ (২৮) নামে এক ভিলেজার নিহত হয়েছেন। এসময় ওই বন্যহাতি বেশ কিছু বাড়ি ভাংচুর ছাড়াও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এদিকে দলছুটে বন্যহাতিকে তাড়াতে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ ও বনবিটের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং চকরিয়া থানা পুলিশের পৃথক টিম কাজ করছে।
সোমবার ভোরের দিকে দলছুটে বন্যহাতিটি চকরিয়া উপজেলার ভেওলা মানিকচর (বিএমচর) ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মধ্যবর্তী এলাকার খিলছাদকে এ তান্ডব চালায়।
নিহত মো. রহমত আলী ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রিংভং ছগিরশাহকাটা এলাকার আবদুস সালামের ছেলে। তিনি ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের অধীন ভিলেজার হিসেবে কর্মরত ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল হান্নান বলেন, ভোররাতের দিকে একটি দলছুটে বন্যহাতি বিএমচরের পাহাড়িয়া পাড়ার সবজি ক্ষেতে অবস্থান করছিল। সকালে কৃষকরা মাঠে গেলে বন্যহাতিকে দেখতে পায়। এসময় স্থানীয় উৎসুক জনতা এলাকায় হাতি এসেছে খবর পেয়ে ভিড় করে। পরে খবর পয়ে সাফারি পার্ক, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ ও বনবিটের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করে। এসময় দলছুটে বন্যহাতিকে তাড়ানোর জন্য বনবিভাগের ভিলেজার রহমত আলী খড়ে আগুনের লাগিয়ে ওই হাতির দিকে নিক্ষেপ করে। পরে হাতিটি ফিরে এসে ভিলেজার রহমতকে পা দিয়ে পিষ্ট করে আহত করে। বনবিভাগ ও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
বিএমচরের বাসিন্দা ইমতিয়াজ আহমদ রাজিব বলেন, দলছুটে বন্যহাতিটি সকাল থেকে এলাকায় ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও ফসলের ক্ষতি করেছে। মানুষজন খুব আতংকের মধ্যে রয়েছে।
ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তা ও ভিলেজারদের নিয়ে হাতিটিকে বনে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে ঘটনাস্থলে যায়। এসময় দলছুটে বন্যহাতিকে ফিরাতে গিয়ে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে বনবিভাগের ভিলেজার রহমত আলী মারা যায়। হাতিকে বনে ফেরাতে এখনও চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।