বিবিএন নিউজ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে যে রোহিঙ্গারা এসেছে, তাতে প্রতি বছর ৩৫ হাজার করে শিশু জন্ম নিচ্ছে। পাঁচ বছরে দেড় লাখ বেড়েছে। একটি আশঙ্কার জায়গা। মিয়ানমারের বাসিন্দারা যেন বাংলাদেশের পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে না পারে সেজন্য ইউএনএইচসিআরের ডাটাবেজ ব্যবহার করা হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে পুলিশ, এপিবিএন, আনসার ও র্যাবের যৌথ টহল চলছে- সেটা আরও জোরদার করা হবে। ক্যাম্পের বাইরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করবে। আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরে অবৈধভাবে স্থাপিত দোকানপাট উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তা চলমান থাকবে। ক্যাম্পের চারপাশ দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। পর্যবেক্ষণ টাওয়ার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় জন্মহার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে সবাইকে উদ্ধুদ্ধ করা হবে। সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি। আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগকে বলব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে বলব, তারা যাতে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে সবাইকে উদ্ধুদ্ধ করে। রোববার বিকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির চতুর্থ সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।