বিবিএন নিউজ: কক্সবাজার জেলায় আগামী ২৩ মে পর্যন্ত সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এ ক্ষেত্রে জেলার চারটি স্থানকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। এই স্থানগুলো হলো, কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও, উখিয়া ও টেকনাফ। টেকনাফকে জেলার অন্যান্য স্থান থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার অনুষ্ঠিত জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রমতে, সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে সীমান্তবর্তী টেকনাফ উপজেলা থেকে কাউকে বের হতে দেয়া হবে না, আবার বাইরের কাউকে টেকনাফে ঢুকতেও দেয়া হবে না।
এছাড়াও আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। পর্যটন কেন্দ্রও যথারীতি বন্ধ থাকবে। হোটেলগুলো বন্ধ থাকবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কোন লোকজন যাতে বের হতে না পারে সে ব্যাপারো কড়াকড়ি আরোপ করা হবে। ক্যাম্পগুলোতে অভ্যন্তরীণ চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
দোকানপাট সকাল ১০ থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এরপরে খোলা রাখা হলে অভিযান পরিচালনা করা হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় আক্রান্তদের আইসোলেশনে নেয়াসহ আইসোলেশন কেন্দ্রগুলো সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কাঁচাবাজারসহ অন্যান্য বাজারগুলো তদারক করার জন্য বিশেষ টিম গঠন করা হবে বলে জানানো হয়েছে সভায়।
* কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও, উখিয়া ও টেকনাফকে অধিক গুরুত্ব
* টেকনাফকে বিচ্ছিন্ন রাখার সিদ্ধান্ত
ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির কক্সবাজার জেলার সমন্বয়কারী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ। জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান, ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রী ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি আবু তাহের, সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ড. অনুপম বড়ুয়া, সদর হাসপাতালের সুপার সুমন বড়ুয়া, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আকতার সুইটি প্রমুখ। সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার